৪৩ বছরে দিপু ভূইয়া, মায়ের অনুপ্রেরণায় রাজনীতিতে
স্পেশাল করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৬:০৮ পিএম, ৫ জুন ২০১৯ বুধবার

জন্মদাত্রী মায়ের অনুপ্রেরণায় সম্পৃক্ত হয়েছেন রাজনীতিতে। আর রাজনীতিতে পেয়েছেন আরেক স্নেহ ভালোবাসার মাকে যিনি শিখিয়েছেন দেশের মানুষকে ভালোবাসতে। মানুষের জন্য দেশের জন্য কিছু করার জন্য। নিজের সব কিছু মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে মানুষের সেবা করতে। সেই মাকে কারাগারে রেখে কোন শুভেচ্ছা বা কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন এ তরুণ রাজনৈতিক নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু।
তরুণ ও উদমী এ নেতা ৪২ বছর শেষে ৬ জুন ৪৩ বছরে পদার্পণ করেছেন। জন্মদিন উপলক্ষে দিপুর এসব কথা বলেন যিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির কার্য্যকরী কমিটির সদস্য। এর প্রেক্ষিতে তিনি নিউজ নারায়ণগঞ্জ প্রতিবেদকে নিজের পারিবারিক রাজনৈতিক বিষয়ে কথাগুলো বলেন।
১৯৭৭ সালের ৬ জুন ঢাকার শান্তিনগর বাসায় বাবা মজিবুর রহমান ভূইয়া ও মা শামসুনাহার বেগমের সংসারে জন্ম নেন মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু। বাবার মার আদর ভালোবাসায় সেখানেই বড় হয়ে উঠেন তিনি। বাবা ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে ঢাকায় বসাবাস করতেন। তবে নিজ বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ‘ভূঁইয়া বাড়ি’।
রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া ভুঁইয়া পরিবারের সদস্য মুসলিম কটন মিলের মালিক গুলবক্স ভূঁইয়ার ছেলে সুলতান উদ্দিন ভূঁইয়া ছিলেন জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি। তার বড় ভাই মজিবুর রহমান ভূঁইয়া রূপগঞ্জ উপজেলার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান। মজিবুর রহমান ভূইয়ার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু। আর গুলবক্স ভূঁইয়ার নাতি।
মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু নাম হলেও রূপগঞ্জের কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মী সহ প্রায় সকলেই তাকে সম্পূন্ন নামের চেয়ে দিপু ভূঁইয়া নামে ডাকতেও বলতে ভালোবাসেন। দিপু ভূঁইয়াও খুব সহজেই সাধারণ মানুষকে কাছে টানে বলে রূপগঞ্জ অবস্থান থাকলে মানুষের ভীড় থাকতে দেখা যায়। এছাড়াও বিএনপির রাজনৈতিক প্রবীন ও নবীন নেতাকর্মীদের অসুস্থ্যতা, সমস্যা ও কারাবান্দি হলেও ছুটে যাওয়ার ফলে তাদের কাছের আত্মীয় হয়ে উঠেছেন তিনি। আর তরুন সমাজের কাছে তিনি হলে আইকন।
দিপু ভূঁইয়া ছাত্র জীবন থেকেই রাজনৈতিক কর্মকান্ড সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তবে তখনও কোন পদ পদবী ছিল না। এলাকায় মানুষের সমস্যা ও সেবায় সবর্দা কাজ করে যেতেন তিনি। রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও মানুষের ভালোবাসায় দলীয় ভাবে বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে ২০০৭ সালে বিএনপি সহযোগি সংগঠন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। মূলত তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়েই বিএনপির রাজনীতিতে আসেন।
পারিবারিক ভাবে ইয়াসমিন ইসমাইলকে বিয়ে করেন দিপু ভূঁইয়া। তাদের সংসারে দুই ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে শাহনের মোহেমিন ভূইয়া ও ছোট ছেলে মিখাইলুর রহমান ভূইয়া।
রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু নিউজ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, পারিবারিক ভাবে ছোট বেলা থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাবা দাদার রাজনীতির কর্মকান্ড দেখতে দেখতে বড় হওয়া। তবে আমি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার পিছনে আমার মায়ের ও বাবার দুইজনের বেশি অনুপ্রেরণা ছিল। তারাই আমাকে সাহস ও সহযোগিতা করেছে। আর তাদের অনুপ্রেরণায় ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতি করি। তবে তখন কোন পদ পদবী ছিল না। পরে দেশ নেত্রী আর রাজনৈতিক মা বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পদ দেওয়া হয়। বর্তমানে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির কার্য্যকারী সদস্য।
তিনি আরো বলেন, আমাদের উদযাপন সেইদিন হবে যেদিন কারাগার থেকে আমাদের মাকে মুক্ত করতে পারবো। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে নির্দেশ দিবেন সেই ভাবেই আমরা কাজ করে যাবো।’
জন্মদিনের নিজের স্বপ্ন হিসেবে দিপু ভূঁইয়া বলেন, ‘মানুষের সেবা করা ও সারাজীবন মানুসের পাশে থেকে কাজ করে যেতে চাই।’