ভাঙার পর আগের রূপেই চাষাঢ়ার আল জয়নাল ট্রেড সেন্টার
স্পেশাল করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৯:৩৯ পিএম, ৬ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল পথে ডাবল রেললাইনের কাজ আরো এক ধাপ এগিয়ে নিতে কিছুদিন পূর্বেই চাষাঢ়া রেল স্টেশন ও এর আশপাশের এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সেখানে ভাঙ্গা পরে জাতীয় পার্টির নেতা আল জয়নালের অবৈধ মার্কেট। সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ড্যামকেয়ার ভাব নিয়ে পুনরায় রেলের জায়গা দখল করে আবারো নির্মাণ করেছে উচ্ছেদ অভিযানে ভাঙ্গা পরা সেই ‘আল জয়নাল ট্রেড সেন্টার’।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা রেল পথে ডাবল রেল লাইন ছিল নারায়ণগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। ডাবল রেল লাইনের দাবিতে বেশ কয়েকবার আন্দোলন সংগ্রাম করেছে নারায়ণগগঞ্জবাসী। সেই দাবির প্রেক্ষিতে কাজ শুরু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ডাবল রেল লাইনের কাজ এগিয়ে নিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে রেলওয়ে। অবৈধ ভাবে রেলের জমি দখল করে মার্কেট তৈরী করায় ভাঙ্গা পরে চাষাঢ়ায় অবস্থিত জাতীয় পার্টির আলোচিত নেতা আল জয়নালের মালিকানাধিন মার্কেট ‘আল জয়নাল ট্রেড সেন্টার’ এর দশ ফুট জায়গা।
কিন্তু সরকারের এই কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে জাতীয় পার্টির নেতা আল জয়নাল। সরকারের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভাঙ্গা পড়া দেয়াল পুনরায় নির্মাণ করেছেন তিনি।
গত ২৯ জুলাই সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে, রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় ভূমি বিষয়ক কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম সহ রেলওয়ে পুলিশ উপস্থিতিতে রেলের জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ভাঙ্গা পড়েছিল জমি দখল, থানায় ঢুকে গুলি করাসহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ডে আলোচিত জাতীয় পার্টির নেতা আল জয়নালের মালিকানাধীন আল জয়নাল ট্রেড সেন্টারের প্রায় ১০ ফুট জায়গা। তবে উচ্ছেদ অভিযানের সপ্তাহের ব্যবধানে ভাঙ্গা পরা ১০ফুটে আবারো ইট দিয়ে পাকা দেয়াল দেয়া হয়েছে।
৬ আগস্ট মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায় দখলের এই নৈরাজ্য। ভেঙ্গে দেওয়া ১০ ফুটের সম্পূর্ণ জায়গা ইট দিয়ে নতুন করে গাথা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পিলার পুনরায় নির্মাণ করা হচ্ছে। অর্ধেকের বেশি জায়গায় প্লাস্টারের কাজ শেষ হয়েছে। চলছে বাকি অংশের প্লাস্টারের কাজ।
এর আগে গত বছরের ২৯ আগস্ট অবৈধভাবে গড়ে উঠা ভবনটি গুড়িয়ে দিতে এ্যাকশনে যায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। তাদের দাবি ছিল ভবনটি নির্মাণে কোনো ধরনের নিয়মনীতি মানা হয়নি। রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করে রাজউক কর্মকর্তা। কিন্তু আল জয়নালের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তাদের কাছে কাগজপত্র আছে। কিন্তু তাঁরা কোনো কাগজপত্র না দেখিয়ে একদিনের সময় চায়। এরপর ঘন্টাখানেক ভবনের সামনে অবস্থান করলেও উচ্ছেদ অভিযানে ব্যর্থ হয়ে একদিনের সময় দিয়ে চলে আসে রাজউক। এরপর আর কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি রাজউকের।