মালিকদের কাছে জিম্মি লঞ্চ যাত্রীরা, পদক্ষেপহীন বিআইডব্লিউটিএ
সোহেল রানা, স্টাফ করেসপনডেন্ট || নিউজ নারায়ণগঞ্জ ০৮:০৯ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৮ সোমবার

ঈদের ছুটি শেষে আবারো ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ যাত্রায় শহরমুখি হচ্ছে মানুষ। যেখানে ২০০-২৫০ যাত্রী বহন করা বেশি হয়ে যায় সেখানে শহরমুখি লঞ্চগুলোতে দেখা যাচ্ছে ঠাসাঠাসি করে যাত্রী উঠিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চালানো হচ্ছে লঞ্চ। এমন অবস্থাতেও কর্তৃপক্ষ নিরব।
সোমবার (২৭ আগষ্ট) নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায় ভয়াবহ অবস্থা। চাঁদপুর থেকে ছেড় আসা এম-১০৩৩৪ ময়নামতি লঞ্চটি যাত্রী বোঝাই করে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ ঘাটে নোঙর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। লঞ্চটিতে এত সংখ্যক যাত্রী তোলা হয়েছে যে চলতি অবস্থায় স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি পানির নিচে ছিল লঞ্চটি। এমন অবস্থা দেখ লঞ্চ ঘাটে থাকা অন্যান্য যাত্রীরা বলছে বড় কোনো লঞ্চের ঢেউ এর সাথে ধাক্কা খেলে লঞ্চে পানি ঢুকে যাবে। এমন ভয়াবহ অবস্থাতেও নিশ্চুপ বিআইডব্লিউটিএ। লঞ্চ মালিকদের ধর্মঘটের ভয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে জানায় তারা।
এদিকে ঈদের আগে (২০ আগষ্ট) নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী দেখে নিজে এসে নামিয়ে দেন। মন্ত্রীর নিষেধের পরেও প্রতিনিয়ত ঘটছে এমন ঘটনা। এমন অবস্থায় ছোট দুর্ঘটনাতেও বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটার আশংকা থেকেই যায়।
চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চটির যাত্রী রাব্বানী মিয়া বলেন, চাঁদপুর থেকে লঞ্চটি সকাল সাড়ে ৭টায় ছেড়েছে। সেই ঘাটেই এত যাত্রী ছিল। এত যাত্রী নিয়েও লঞ্চটি ছাড়তে চায়নি। পরে যাত্রীদের ধমকে লঞ্চটি ছেড়েছে। এবং মাঝে আরো কয়েকটি জায়গায় থেমে যাত্রী নিয়েছে। ভিতরে তিল ধারনের যায়গা ছিল না।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জের সহকারি পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য নিউজ নারায়ণগঞ্জকে জানান, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে সেটা আমরা দেখছি। কিন্তু যাত্রীদের তো আর আটকানো যায় না। তাদেরকে তো গন্তব্যে পৌছাতে হবে। তাছাড়া লঞ্চগুলোর বিরুদ্ধে যদি কোনো পদক্ষেপ নিতে যাই তবে দেখা যায় লঞ্চ মালিকেরা লঞ্চ বন্ধ করে দেয়। তাই আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছি না। তবে যাত্রীদের নিরাপত্তায় লঞ্চগুলোতে প্রশিক্ষিত মাস্টার ড্রাইভার আছে কি না তা যাচাই করা হচ্ছে।