আদর্শ শিশু সরকারী বিদ্যালয়ে আনন্দ বেদনার বিদায় সংবর্ধনা

আমলাপাড়া এলাকার আদর্শ শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ নভেম্বর শনিবার দুপুরে স্কুল প্রাঙ্গনে শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংগীতের গাওয়ার মধ্য দিয়ে বিদায় অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এরপর একে একে অন্যান্য সংগীত ও কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। সবশেষে বিদায় নেয়া শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয় এবং পরীক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে বিরাজ করছি আনন্দ ও উৎফুল্লতা। সেই সাথে তাদের মাঝে কিছুটা বেদনাও বিরাজ করছিল। কারণ একদিকে শিক্ষার্থীরা এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নিয়ে তারা উচ্চ শিক্ষার সিঁড়িতে পা রাখবে। আর এটা সকলের জন্য আনন্দদায়ক বিষয়। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ ৫ বছরের মায়া-মমতা ছেড়ে এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নিয়ে যাবে। আর এটি তাদের জন্য বেদনাদায়ক বিষয়।
আদর্শ শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আরিফ আলম দিপুর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী কাশেম জামাল।
বিদায় নেয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে কাশেম জামাল বলেন, তোমরা এখন হাইস্কুলের দিকে পা রাখবে। এটা তোমাদের জন্য আনন্দের বিষয়। তোমার ভালভাবে পড়ালেখা করবে। পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধূলাও করবে। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকাদের সাথে তোমাদের সম্পর্ক ছিল মা মেয়েয় মতো। তুমরা আমাদের জন্য দোয়া করবে এবং আমরা তোমাদের জন্য দোয়া করবো। তোমাদের উজ্জল ভবিষ্যত কামনা করি।
আবেগ জড়ানো কণ্ঠে আরিফ আলম দিপু বলেন, তোমারা আমাদের সাথে ৫টি বছর কাটিয়েছ। এই ৫ বছরে তোমাদের সাথে আমাদের অনেক স্মৃতিই রয়েছে। আজ তোমরা আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছ। এটা আমাদের জন্য বেদনাদায়ক বিষয়। তারপরেও তোমরা উচ্চ শিক্ষার জন্য পা রাখছো। বেদনার মাঝেও সেটা আনন্দের বিষয়। তোমাদের সুন্দর ভবিষ্যত কামরা করি। তোমরা যেখানেই যাও না কেন এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম বজার রাখার চেষ্টা করবে। ভালভাবে পরীক্ষা দিবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আদর্শ শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হালিমা খাতুন, পরিচালনা পর্ষদের সহ সভাপতি আতিকা খানম, সদস্য শান্তাজ বেগম, সাইদুর রহমান ভূইয়া ও মোবাশ্বর হোসেন সহ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।